এই পৃথিবীতে সুখ
জিনিসটা বড্ড বেশি আপেক্ষিক। এমনকি ‘স্বাস্থ্য সকল সুখের মুল’ এই আপ্তবাক্যটি যারা
দীর্ঘদিন থেকে আউড়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য স্বাস্থ্য কম আপেক্ষিক কোনো বিষয় নয়।
এরই মাঝে একদল
আছে যাদের বেজায় দুশ্চিন্তা তাদের রোগাপাতলা শরীরটি নিয়ে। অন্যদিকে আরেক দলের তো
নাওয়া-খাওয়াই হারাম হয়ে যাচ্ছে তাদের অকারণ মুটিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে খুঁজতে।
পত্রিকার পাতা
থেকে বিশেষজ্ঞের চেম্বার – সঠিক ফিটনেসের জন্য সবার আগে চাই এই জানা বিষয়গুলো
খানিকটা মানার অভ্যাস গড়ে তোলা। আর কি জানবেন কিংবা কি মানবেন সেটি এ বেলা আরো
একবার বুঝিয়ে দেয়ার জন্যই নতুন করে পুরোনো কিছু মনে করিয়ে দেয়া। তবে এ রুটিনে চোখ
বোলানোর আগে আরো একবার সতর্কবাণী – রুটিন পড়ে তা মানবার অভ্যাসটা কিন্তু গড়ে তুলতে
হবে নিজ দায়িত্বেই।
পাঁচ ধাপে
ফিটনেস
যারা আগ্রহ নিয়ে
এ লেখাটা পড়ছেন ধরেই নেয়া যায় যে ফিট হবার একটা গোপন ইচ্ছা তাদের মনে আছে। এবার এই
ইচ্ছেটাকে সত্যিকার অর্থে বাস্তবে রূপ দিতে চাইলে প্রথমেই ঝটপট একটু পরামর্শ সেরে
ফেলুন একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ বা এ সংক্রান্ত সঠিক জ্ঞান আছে এমন কারো সাথে। এবার এই
সমঝদার লোকটিকে নিয়ে আপনার ওজন আর উচ্চতা অনুযায়ী তৈরি করে ফেলুন একটি ডায়েট
চার্ট।
প্রায়ই লক্ষ্য
করা যায় যে নিজের উচ্চতা আর ওজনের প্রতি খেয়াল না রেখে আমরা গড়পরতা যে খাদ্য ও
ব্যায়াম অনুসরণ করি তা আদতে খুব একটা কাজে আসে না । আর তাই ডায়েট চার্ট, অর্থাৎ সারা দিনে কি খাবেন বা কতোটুকু ব্যায়াম করবেন সেটি ঠিক করার সময়
উচ্চতা ও ওজনের বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
এক্ষেত্রে
সবচেয়ে ভাল হয় যদি পুষ্টি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে প্রতিদিন কি খাবেন এবং কি ধরণের
ব্যায়াম করবেন তার একটা রুটিন বানিয়ে নিতে পারেন। রুটিন বানানোর পর এ রুটিন
অনুযায়ী সবকিছু ঠিকমতো এগুচ্ছে কি না সেটি আলাদা একটি খাতায় নোট করে একধরণের ‘চেক
এন্ড ব্যালেন্স’ গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।
ফিটনেস রুটিনের
এই প্রথম ধাপটি সঠিকভাবে অনুসরণ করা সম্ভব হলে পা দিন দ্বিতীয় ধাপে। এ ধাপে আপনার
করণীয় হলো ঘুম থেকে উঠে খাটে শুয়েই ১০ মিনিট হাত-পা টান করে গভীর শ্বাস নেয়া এবং
কমপক্ষে ৩০মিনিট খোলা জায়গায় সাধারণের চেয়ে দ্রুতগতিতে হাঁটা।
ফিটনেসের তৃতীয়
ধাপ হলো দ্বিতীয় ধাপের এক্সারসাইজের সাথে বাড়তি ১০ মিনিট যোগ করে ফ্রি হ্যান্ড
এক্সারসাইজ বা ৫-১০ বার ওঠাবসা করা। সেই সাথে অফিসে কাজের ফাঁকে খানিকটা
হাঁটা-চলার অভ্যাসও গড়ে তুলুন এই তৃতীয় ধাপেই।
ফিটনেসের চতূর্থ
এবং পঞ্চম ধাপে খাওয়ার মান ও পরিমাণ ঠিক রেখে আপনাকে নজর দিতে হবে রাতের অবসর ও
ছুটির সময়ের দিকে। এক্ষেত্রে চতূর্থ ধাপ হিসেবে রাতের খাবারের পর ১৫ মিনিট
স্বাভাবিক গতিতে হাঁটা বা পায়চারি করার অভ্যাস রপ্ত করুন।
আর এই ধারার
ফিটনেসের সর্বশেষ ধাপ হিসেবে ছুটির দিনে শক্তি ক্ষয় হয় এমন কোনো কাজে নিজেকে
নিয়োজিত করুন। এটা হতে পারে বাড়ির অতি প্রয়োজনীয় কোনো কাজ কিংবা কোনো ধরণের
ঘাম-ঝড়ানো খেলা। তবে এতোসব করে শরীর থেকে যে শক্তি ক্ষয় হবে তা পুষিয়ে নিতে রোগা
এবং মোটা দু’দলকেই খেতে হবে ডায়েট চার্টের কথা মাথায় রেখেই।
No comments:
Post a Comment